দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু সংবাদ সংম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, দলের মধ্যে একটি চক্র পরিকল্পিত ভাবে তাকে ফাঁসাতে চেষ্টা করছেন। ইউপি নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ওই চক্রটি ততোই তার পেছনে আদা জল খেয়ে লেগেছেন।
আগামী নির্বাচনে যেন তিনি নৌকার মনোনয়ন না পান সে জন্য তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো সহ বিভিন্ন দপ্তরে নানা অভিযোগ করে চলেছেন। বোরবার বেলা ১২ টায় রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদে এক সংবাদ সম্বেলনে এই দাবী করেন পরিষদটির চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু। এ সময় প্যানেল চেয়ারম্যান মানিক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জামিরুল ইসলাম বাবু দাবী করেন, বিএনপির ঘাটি বলে পরিচিত রিফায়েতপুর ইউনিয়নে পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর বিএনপি’র প্রার্থীরাই নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (একজন জাতীয় পার্টি বাদে। ২০১৬ সালে তিনিই প্রথম আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
কিন্তু আগামী নির্বাচনে তিনি যেন দলীয় মনোনয়ন না পান সে জন্য দলের মধ্যে একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র নানা ভাবে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করে আসছেন। এরই অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে ভিজিডি’র চাল আত্মসাথের একটি মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে ফাঁসানো চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্বেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভিজিডি’র কার্ড ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য সম্বিলিত সুষ্ঠভাবে প্রনয়ন করা হয়। ১০১টি কার্ডের মধ্যে ভুলবসত পূর্বের অর্থবছরের ৪টি সুবিধাভোগীর নাম ২য় বার অন্তর্ভক্ত হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নির্দেশনায় ্ওই ৪ জনের নাম কর্তন করে নতুন ৪ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
নতুন নামগুলো সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বররাই অন্তর্ভক্ত করেন। এর মধ্যে মানিক হোসেন মেম্বর কর্তৃক অন্তুর্ভক্ত নাহারা খাতুন ও আব্দুস সবুর মেম্বর কর্তৃক অন্তুর্ভক্ত রুবিনা খাতুনের নামে ইস্যুকৃত কার্ড পত্রিকায় খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসলে সংশ্লিষ্ট মেম্বর বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য নির্দেশনা প্রদান করি।
কিন্তু আব্দুস সবুর মেম্বর আমার নির্দেশনার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুস সবুর মেম্বর কর্তৃক অন্তুর্ভক্ত রুবিনা খাতুনের নামে ইস্যুকৃত কার্ডের চাল মেম্বরের ভাগিনা ব্যক্তিগত কাজের লোক শিতলাইপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম ওই চাল উত্তোলন করে ভোগ করছেন। অথচ ষড়যন্ত্রকারীরা এটিকে ইস্যু করে আমার নামে চাল আত্মসাতের মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন।
জামিরুল ইসলাম বাবুর দাবী, অন্যায় হয়ে থাকলে সেটি করেছেন সংশ্লিষ্ট মেম্বর। কিন্তু আব্দুস সবুর ওরফে ছবিরে মেম্বরের অপরাধের দায় চেয়ারম্যান বহন করছেন। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীর মুখোষ উন্মোচন হয়ে যাবে। এই জন্য সংবাদকর্মীদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। সংবাদ সম্বেলনে বিভিন্ন মিডিয়ার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে সকলের উপস্থিতিতে ইউনিয়নের বয়স্কভাতার কার্ড বিতরন করা হয়।