দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ভিজিডির চাল আত্বসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান জেল হাজতে ,দৌলতপুর উপজেলার ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়নে মোছাঃ নাহারা খাতুন নামে এক নারীর নামে ভিজিডির চাল উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু চাল পান না নাহারা খাতুন। ২২ মাস ধরে এই নারীর নামে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে দৌলতপুর উপজেলার ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়নে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয় ৯ নং রিফায়েতপুর ইউনিয়নের রিফায়েতপুর বাগানপাড়া গ্রামের নাহারা খাতুন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ভিজিডি কার্ড করার জন্য স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুর রাজ্জাকের কাছে সব কাগজপত্র সহ জমা দেয়।
মেম্বার কার্ড করে দিবে বলে নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়েও যায়, কিন্তু নাহারা খাতুনের আজ অবধি পর্যন্ত কার্ড ও পায় না চালও পায় না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় নাহারা খাতুন নামে ভিজিডি কার্ড চলমান রয়েছে। কিন্তু একবারের জন্য তিনি চাল পাননি। বরাদ্দকৃত চাল তার নামে উঠেছে ২২ মাস ধরেই। অথচ কিছুই জানেন না নাহারা খাতুন ও তার পরিবার।
নাহারা খাতুনের স্বামী প্রতিবন্ধী রেজাউল হক জানান, কার্ড করে দেয়ার কথা বলে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি নিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু ও ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক। মাসে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার আশায় তখন এসব দিয়েছিলেন।
সঙ্গে ৫ হাজার টাকাও দেয়া হয়। কিন্তু এখন কার্ড পাওয়া তো দূরের কথা তাদের সাথে কথা বলা যায় না। ভিজিডি কার্ডের তথ্যে দেখা গেছে, গত ২২ মাস যাবৎ নাহারা খাতুনের নামে ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করা হয়েছে।দৌলতপুর ভিজিডির চাল আত্বসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান জেল হাজতে/