দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর তীর থেকে বালি উত্তলোন করছে প্রভাবশালী মহল, শত,কোটি টাকার বাঁধ হুমকিম মুখে, নীরব প্রশাসন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, ২০১৬ সালে ১১২ কোটি টাকা ব্যায়ে নদীর ভাঙ্গন থেকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন কে বাঁচাতে বাংলাদেশ সরকার একটি বাঁধ তৈরি করেন।
এলাকার প্রভাবশালী মহল ইসলামপুর বাঁধের প্রায় ২ শত গজ দুরে পদ্মা নদীর তিন মহনার তীরে আবাদি জমি কেটে বালি উত্তলোন করছে, এতে হুমকির মুখে আবাদি জমিন ও ফিলিপনগর ইউনিয়ন রক্ষা বাঁধ। আবাদি জমি ও বাঁধ রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে চোখে পড়ে বালি উত্তলোনের দৃশ্য, সরাসরি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে বালি একদিনে প্রায় ২ শতাধিক টলিতে বালি লোড হয় এখান থেকে।
এ বিষয়ে বালি উত্তলোনের মূল দায়ীত্বে থাকা হোসেন মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি, তবে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান, তিনি বলেন আমি জমি ক্রয় করে সেখান থেকে বালি তুলছি। প্রশানের কোন অনুমতি আছে কি এমন প্রশ্নে তিনি জানান আমার জমিতে বালি কাটবো প্রশাসন কি!
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া- ১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ জানান, বালি উত্তলোন হচ্ছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না, তবে আপনি যেখানে বালি উত্তলোনের কথা বলছেন সেখান থেকে বালি উত্তলোন হলে তো বাঁধটা ভেঙে যাবে। আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি জানান বালি উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্সে রয়েছে অবৈধভাবে কাউকে বালি উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।