দৌলতপুর প্রতিনিধি : দেশের অধিকাংশ তামাক চাষ হয় দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা কুষ্টিয়ায়। জেলার ৬ উপজেলার মধ্যে তামাক চাষে অন্যতম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৌলতপুর উপজেলা। গেল মৌসুমে এই উপজেলায় ৩ হাজার ৯শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হলেও, এবছর প্রায় ২শ’ হেক্টর কমে চাষ হয়েছে, ৩ হাজার ৭শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে।
তামাক চাষের উপযুক্ত মাটির অযুহাত দেখিয়ে কৃষকেরা চাষ করছেন লাভ জনক এবং পরিবেশের জন্য ঝুকিপূর্ণ ফসল তামাক।
জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে দৌলতপুর উপজেলার মাটিতে অন্য ফসলের তুলনায় ভালো হয় তামাক, তাই বেশী লাভের আশায় তামাক চাষের প্রতি কৃষকদের ঝোক বেশি।
কিন্তু গত বছর তামাকের দাম একটু কম পাওয়ায়, আর এবছর করোনা কালীন সময়ে বাজারে সবজির চাহিদা থাকায় অনেকেই এবছর কমিয়েছেন তামাক চাষ ।
বেগুন বাড়ীয়া এলাকার এক কৃষক জানান তামাক আগে বেশি চাষ করতাম এখন কম, সবজির দাম ভালো তাই সবজি চাষ করছি ।
শশীধরপুর এলাকার সাত্তার মিয়া জানান গত বছর আমি ৩ একর তামাকের চাষ করেছিলাম আশানুরুপ দাম না পাওয়ায় এবার তামাক কমিয়ে ১ একর করেছি, বাকী ২ একর জমিতে সবজি চাষ করেছি, কৃষি প্রণোদনা ও ঋনের সুবিধা বাড়ালে তামাক চাষ আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন তামাক চাষ ৩,৯৩০ হেক্টর থেকে কমে এ বছর ৩,৭৫০ হেক্টর হয়েছে,করোনার জন্য সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে,ভুট্টা আলু,পেয়াজ,রশুনের চাষ বেড়েছে,
তিনি আরো জানান তামাক চাষে কৃষক যেন নিরুৎসাহিত থাকে, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে আমাদের মাঠকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন, আশা করছি আগামীতে চামাক চাষ ব্যাপক হারে কমবে।