দৌলতপুর প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের নতুন আমদহ গ্রামের শফিউল ইসলামের ছেলে গুলজার হোসেনের হাতে মারাত্মক জখম হয়ে শশুর মোঃ হাবিবুর রহমান হাসপাতালে ভর্তি থানায় মামলা দায়ের।
স্থানীয় লোকজন ও এজাহার সূত্রে জানাগেছে গুলজার এর আগে দুইটা বিবাহ করে, পরে তৃতীয় বিবাহ করে গত ইং ১৪/০১/২০২০ইং তারিখে উপজেলার ৪ নং মরিচা ইউনিয়নের মাছদিয়াড় গ্রামে লাবনী ইয়াসমিন পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান মেযের সাথে, কিছুদিন ঘর সংসার করার পর তাকে অত্যাচার নির্যাতন ও শারীরিক মারধর করে থাকে।
এক বছর পর ১৪/০১/২০২১ তাং দুপুর অমুমান ২ টার সময় গুলজার ও শাশুড়ি লাবনী কে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিলে লাবনী বাপের বাড়ি চলে যায়। লম্পট গুলজার আগের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে সংসার করে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০( সংশোধিত২০০৩) ধারা-১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা দাযের করে লাবনী। বর্তমানে উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রহিয়াছে।
০৮ ফেব্র“য়ারী সকাল অনুমান ৮ টার সময়, অটো যোগে লাবনী ও তার পিতা মোঃ হাবিবুর রহমান(৭০) নিজ বাড়ি থেকে বিজ্ঞ আদালতের উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া রওনা হয়ে কল্যানপুর খাঁ পাড়া নামক স্থানে এলে গুলজার ও তার সহযোগী, মিনহাজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর গতি রোধ করে ওৎ পেতে থাকা গুলজার ও তার মামাতো ফুফাতো ভাইয়েরা দেশীয় তৈরী ধারালো হাসুয়া, লাঠি বাটাম ইত্যাদি দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে লাবনীকে আঘাত করতে থাকলে এক পর্যায়ে লাবনীর বাবা এগিয়ে আসে, ধারালো হাসুয়া দিয়ে লাবনীকে কোপ মারতে গেলে বাবার মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে আবারও কোপ মারলে লাবনী বাবার বাম হাতে কবজির উপর কোপ লাগে রক্তাক্ত জখম করে । লাবনী ও তার বাবার চিৎকার করলে, আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনার পর আশ পাশের লোকজন সহযোগীতায় লাবনী ও তার বাবাকে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে গুলজার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন ধরে না, পরে ৪ টা ৫৮ মিনিটে নিজে ফোন করে লাবনী বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ডিউটিতে ছিলাম এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। লাবনী এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছে।