কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়ায় বন্যা পরবর্তী আশ্রয়হীনদের ঘর ভেঙ্গে মালামাল লোপাট,এ ঘটনায় ব্যারাকে বাস করা গৃহহীন ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিন ঘুরে ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলায় মুজিবশত বর্ষের নতুন ঘর সোনাবাড়ীয়াতে বরাদ্দ হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান পুরাতন গৃহ ভেঙ্গে তদস্থলে নতুন গৃহের কাজ শুরু করেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান গৃহ নির্মানের জন্য মিস্ত্রী সুভাষ বসু ও সোনাবাড়ীয়ার জাকির কে দায়িত্ব দেন,মিস্ত্রী সুভাষ বসু ও জাকির হোসেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে পুরাতন ব্যারাক পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলেন এবং পুরাতন মালামাল টিন,এ্যাঙ্গেল,দরজা,জানালা সব কিছুই উপজেলা প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার সহ কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
সোনাবাড়ীয়াতে মুজিবশত বর্ষের নতুন ঘর পাওয়া গৃহহীন দাউদ,আক্তারুল সহ অনেকে জানান, মিস্ত্রী সুভাষ বসু ও জাকির হোসেন আমাদের পুরাতন ঘর ভেঙ্গে ঘরের মালামাল শুধুমাত্র ইট বাদে সকল কিছু নিয়ে চলে যায় পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি মনিরুল চেয়ারম্যান ও আনারুল মেম্বার কে জানাই তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে টিন,এ্যাঙ্গেল,দরজা,জানালা সব কিছু সোনাবাড়ীয়াতে জাকিরের দোকানে আছে এবং বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান জানেন। এছাড়া ভুক্তভোগি বাসিন্দা আব্বাস,রুস্তম সহ অনেকে অভিযোগ জানান তাদের পুরাতন ঘরের ইট নতুন ঘরের ভেতরে দেয়া হচ্ছে কিন্ত মিস্ত্রী সুভাষ তাদের তখা না শুনে উল্টো ভীতি প্রদর্শন করে তাদের বলেছেন বেশী বাড়াবাড়ি করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাদের ঘরের বরাদ্দ বাতিল করে দেবে।তখন বিষয়টি আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম কে জানালে তিনি ইউএনও সাহেবের সঙ্গে কথা বলে আমাদের নির্মানাধীন ঘরের কাজ নতুন ইট দিয়ে তৈরীর ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান জানান ঘরের অনিয়ম ও দূর্নীতি বিষয়ে আমি কোনও বক্তব্য দিতে পারবো না আপনারা সাতক্ষীরা থেকে বক্তব্য ও যাবতীয় তথ্য পাবেন।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোসুমী জেরিন কান্তা জানান, সোনাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান,সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার সহ স্থানীয় কয়েকজন গন্যমান্য ব্যাক্তি আমাকে সোনাবাড়ীয়াতে মুজিবশত বর্ষের নতুন ঘর নির্মানে অনিয়মের কথা জানালে আমি তাৎক্ষনিক পুরাতন ইটের ব্যবহার বন্ধ করেছি ও সকল মালামাল ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নেওয়ার জন্য বলেছি।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ব্যাপারে তিনি বক্তব্য দিকে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং জড়িত মিস্ত্রী ও জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন মুজিবশত বর্ষের ঘর নিয়ে কোনরকম অনিয়ম,দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি কে ছাড় দেওয়া হবেনা,প্রকল্পটি সঠিক ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে তিনি বদ্ধপরিকর বলে জানান।