খন্দকার জালাল উদ্দীন : কুষ্টিয়া দৌলতপুরের গুনী ব্যাক্তিত্ব প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন কার হয়েছে।‘আইনের বাতিঘর’ কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির বহুবারের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি ও জিপি, কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, কুষ্টিয়া ল’ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)।
মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার কর্মস্থল কুষ্টিয়া কোর্ট চত্বরে। দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ৩.৩০ সময়, নিজ পৈত্রিক বাড়ী দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে, সেখানে জানাজায় স্মৃতি চারণ করেন সাবেক চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন, সাবেক এমপি আফাজ উদ্দীন আহাম্মেদ, সাবেক এমপি রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, বর্তমান এমপি আ.কা.ম.সরওয়ার জাহান বাদশা। মরহুম আমিরুল ইসলাম তারাগুনিয়া বাজার এলাকার ডাক্তার আজিজুল ইসলাম (ডা.ফুলবাস) ছেলে। তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া পৌর গোরস্থান চত্বওে বাদ মাগরিব এবং সেখানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যু কালে স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ছেলে আরিফ আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচ.ডি গবেষনারত, কন্যা তানিয়া সারমিন হেমা ঢাকাতে শিক্ষকতা করেন।
প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম মৃত্যুতে কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। কুষ্টিয়ার প্রথিতযশা আইনজীবী প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়লে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে গত কয়েকদিন তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায়ই ছিলেন।
নিজের প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করে অনেকবার হয়েছেন আদালতের বন্ধু। এই আইনজীবীর সান্নিধ্যে এসে আইন পেশায় সফল হয়েছেন অনেকেই। তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে আইন পেশায় কর্মরত ছিলেন।
তিনি ছিলেন এক অনন্য সমাজসেবী। এতিমখানা, মসজিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠায় যার অনন্য ভূমিকা ছিল তার। এছাড়া যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার সেবায়।